বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৯ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: শাহবাগে সাংবাদিক লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। রোববার বিকেলে শরীয়তপুর পৌরসভার পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান। আইজিপি বলেন, পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশের সঙ্গে সবাইকে সম্পৃক্ত হতে হবে। তাহলে জঙ্গিবাদ নির্মূলসহ মাদক ও জুয়া বন্ধ হবে। জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে সবাইকে কাজ করতে হবে।
অভিভাবকদের উদ্দেশে এ কে এম শহীদুল হক বলেন, জঙ্গিরা ছাত্র-ছাত্রীদের ব্রেনওয়াশ করে তাদের মাঝে জঙ্গি চিন্তা-ভাবনা ঢুকিয়ে দেয়। তাই অভিভাবকদের সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। সন্তানদের মাঝে পরিবর্তন দেখলে শিক্ষক কিংবা পুলিশের সাহায্য নিতে হবে। আইজিপি বলেন, পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়টি একটি ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় থেকে বড় বড় রাজনৈতিক নেতা হয়েছে। বড় বড় সরকারি চাকরিজীবী হয়েছেন। আমিও এ বিদ্যালয়ের ছাত্র।
এসময় জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল হোসাইন খান, পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার, শরীয়তপুর সদর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল, শরীয়তপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হাসেম তপাদার ও পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল মহাসচিব (কল্যাণ ও পুবার্সন) মো. আলাউদ্দিন মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির হরতাল কর্মসূচিতে শাহবাগ মোড় থেকে একজনকে আটক করে শাহবাগ থানা নিয়ে যাচ্ছিলেন পুলিশ সদস্যরা। একপর্যায়ে ফুটেজ নেয়ার সময় পুলিশ এটিএন নিউজের ক্যামেরাপারসন আবদুল আলিমের ওপরে হামলা চালায়। পরে টেলিভিশনটির প্রতিবেদক কাজী এহসান তাকে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশ সদস্যরা দুজনকেই মাটিতে ফেলে লাথি মারেন ও পেটাতে থাকেন। আহত ওই দুই সাংবাদিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।